ত্রিপল পাবার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ বলে অভিযোগ , কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

7th July 2020 9:55 am হুগলী
ত্রিপল পাবার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ বলে অভিযোগ , কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আমফানে ক্ষতি হয়েছে বাড়ির টালির ছাদের । তার জন‍্য দরকার একটা ত্রিপলের । সেই ত্রিপল পাবার তালিকায় নাম তোলার অনুরোধ জানিয়ে ধর্ষনের শিকার হতে হলো গৃহবধূকে । এই অভিযোগকে ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা হুগলীর সিঙ্গুরে । অভিযোগের তীর তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে । 

নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী র অভিযোগ , বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতা রমেশ কোলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে । নাবালক দুই সন্তান রয়েছে ঘরে । তাদের সামনেই এই ঘটনা ঘটায় । এমনকি ঘটনার কথা জানালে প্রাণনাশের ও হুমকি দেয় তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ । সিঙ্গুরের বোড়াই পহলমপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ঘিরে চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ । অবশেষে বিজেপি নেতৃত্বের দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস‍্যরা । ঘটনায় অভিযুক্তকে শাস্তির দাবীতে সিঙ্গুর থানা ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা মোর্চার সদস‍্যরা । উপস্থিত রাজ‍্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অনান‍্যরা ।অগ্নিমিত্রা পল বলেন , পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে মাননীয়ার রাজ‍্যে যেখানে কোনো সাহায‍্য সহযোগিতা পেতে গেলে কুপ্রস্তাব মানতে হবে । নবান্নে র ১৪ তলায় বসে মাননীয়া কি শুনতে বা দেখতে পাচ্ছেন তার দলের নেতারা কি কাজ করছে ? অবিলম্বে দোষী তৃণমূল নেতা রমেশ কোলে কে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবী জানান নেত্রী । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।